Widgetized Section

Go to Admin » Appearance » Widgets » and move Gabfire Widget: Social into that MastheadOverlay zone

শিক্ষার গুরুত্বপুর্ণ দিক উপেক্ষিত!

Posted by on May 8, 2016.

(আমীনুর রশীদ)

শিক্ষার গুরুত্বপুর্ণ দিক উপেক্ষিত!

শিক্ষার এ গুরুত্বপুর্ণ দিকটা কি এবং কেন তা উপেক্ষিত? আমি এখানে তা উপস্থাপন করছি।

আনাদের সমাজকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিগণ শিক্ষার এ গুরুত্বপুর্ণ দিকটা সব সময় এড়িয়ে থাকেন।

অথচ তারা খুব ব্যতিব্যস্ত থাকেন শিক্ষার অন্যসব দিক নিয়ে। মনে হয় শিক্ষার উন্নয়নের জন্য তারা বেশ উচ্চকন্ঠ। দিনরাত তারা ব্যতিব্যস্ত থাকেন শিক্ষার জন্য দান অনুদান, বিল্ডিং নির্মাণ, আসবাবপত্র চেয়ার টেবিল অফিস বইপুস্তক, পোষাক পরিচ্ছদ, বৃত্তিপ্রদান ইত্যাদি নিয়ে। অন্যদেরকেও এসব বিষয়ে খুব উদ্বুদ্ধ করেন। রেডিও, টিভি, পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে ঝড় তুলেন। কিন্ত এতসব কিছু যোগান দেয়ার পরে তাতে খুব সামান্য অর্জন লাভ করা যাবে। এমন শিক্ষকরা যথা সময় প্রাদান করলেও ফল খুব সামান্যই মিলবে। কারণ তাতে শিক্ষার প্রাণ নেই।

তাই আমি বলছি য্র এতকিছুর পরেও শিক্ষার আসল দিকটা উপেক্ষা করেই চলেছেন।

উপরের সবগলো হচ্ছ শিক্ষার বাহ্যিক তথা বৈষয়িক ও জাগতিক দিক। এ সব কিছু দিয়ে অর্জন খুব সামান্য।

শিক্ষার প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ দিকটি হচ্ছে তার নৈতিক দিক যেটি দিয়ে একজন মানুষ তার প্রকৃত মনুষ্যত্ব অর্জন করে। তাই শিক্ষার উপকরণের চেয়ে শিক্ষার ‘বিষয়বস্তু’ তথা কারিকুলাম ও সিলেবাস আজ সবচেয়ে বেশী এবং প্রধান গুরুত্বপুর্ণ বিষয়। আমাদের সমাজকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিগণ এ চ্যালেঞ্জিং দিকটিকেই এড়িয়ে চলছেন।

এ নৈতিক দিক ব্যাতীত এ শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অকার্যকর ও বৃথা। এ শিক্ষা দিয়ে নৈতিকতা ও চরিত্রবিহীন একটি সমাজ শুধু সৃস্টি হবে আর বর্তমানে তাই হচ্ছে।

বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে যে সাপের মাথায় মুক্তা থাকলে ও তা দুষ্প্রাপ্য। তাই আমাদের শিক্ষিত ব্যাক্তিগণ যারা দেশ ও জাতির কর্ণধার তারাই সমাজের সবচেয়ে বেশী দুর্নীতিগ্রস্ত ও অনিস্টকর।

আমি উপরে এটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় উপকরণ ও সময়সুচীর চেয়ে অনেক বেশী গুরুত্বপুর্ণ হচ্ছে শিক্ষার বিষয়বস্তু তথা কারিকুলাম ও সিলেবাস। তাই সকলের উচিত এখন এটা দেখা যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।

এখন আমি আলোচনা করব যে কেন আমাদের সমাজকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণ কেন এটিকে এড়িয়ে চলছেন।

শিক্ষার বিষয়বস্ত তথা কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রধানত সরকারী বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্ত্তৃপক্ষ প্রণয়ন করে থাকে। কওমী মাদ্রাসাগুলোর জন্য কিছু বেসরকারি কর্ত্তৃপক্ষ সিলেবাস সমুহ প্রণয়ন করে থাকে। সমাজের মোট শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ এ সব প্রতিষ্ঠানে রয়েছে।

কওমী শিক্ষার্থীগণ মুলধারার শিক্ষা ও স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত থাকার কারণে সমাজের গুরুত্বপুর্ণ ও নীতিনির্ধারনী দায়িত্বশীল অবস্থানে অধিষ্ঠিত হতে পারছে না।

তাই স্বাভাবিকভাবেই নৈতিকতা বিবর্জিত কারিকুলাম, সিলেবাস ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচারিত শিক্ষামুলক প্রগ্রামের বিষয়বস্তু যা নৈতিকতা বিবর্জিত মানুষ তৈরী করছে তার দায়িত্ব প্রধানত ক্ষমতাসীন দল বা গোষ্ঠির উপর বর্তায়।

আর এই ক্ষমতাসীন দল বা গোষ্ঠির বিরাগভাজন হওয়ার তথাকথিত সমাজকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিগণ এ বিষয়ে আলোচনা করতে চান না। তারা অজুহাত হিসেবে বলেন যে এতে রাজনৈতিক বিতর্ক সৃস্টি হয় আর তারা এ বিতর্কে জড়াতে চান না।

এ তো আমাদের সমাজকর্মীদের তথাকথিত সমাজ কর্মের অবস্থা!

রেডিও, টিভি, ইন্টারনেট আজ এই সমাজকর্মীদের আবেদনে ভারী! ইউকের বিভিন্ন ভেন্যুগুলোতে প্রতিদিন তাদের মিটিং আর আলোচনা। এই স্কুলে, এই মাদ্রাসায় এত পরিমাণ অর্থ লাগবে ইত্যাদি।

আসুন সত্যিকার অর্থে শিক্ষার উন্নয়ন চাইলে এ অনুপযুক্ত শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিবর্তন করে এক খসড়া কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য তথপরতা চালিয়ে যাই। একটি গোষ্ঠির প্রিয়পাত্র হবার চেয়ে দেশকে দেশের সামগ্রিক শিক্ষাব্যাবস্থাকে রক্ষা করি।

বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যাবস্থা না তৈরী করছে কোন নৈতিক মান সম্পন্ন মানুষ আর না তৈরি করছে দক্ষ জনশক্তি। শুধু তৈরি অন্ধ অনুগত ও বশীভূত এক প্রজন্ম।

যথাযথ মন্তব্য স্বাগত।

আপনাদের প্রিয়,
আমীনুর রশীদ,
Ameenur Rasheed,
London, UK,
m: +447939847723,
e: ameenur1@yahoo.co.uk,
w: www.facebook.com/AmeenurRasheedPress