Widgetized Section

Go to Admin » Appearance » Widgets » and move Gabfire Widget: Social into that MastheadOverlay zone

করোনা ভাইরাস নয় জালিম শাসন-ব্যবস্থা থেকেই অধিকতর পানাহ চাই

Posted by on March 5, 2020.

*”করোনা ভাইরাস নয় জালিম শাসন-ব্যবস্থা থেকেই অধিকতর পানাহ চাই’*

[আমীনুর রশীদ, লন্ডন। +৪৪৭৯৩৯৮৪৭৭২৩। ameenur1@yahoo.co.uk]

করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার দোয়া প্রচারণা দুর্বল ঈমান ও মুনাফেক্কী ধরনের এক মিথ্যাবাদিতা ও প্রতারণা।

মৃত্যুর ঝুঁকি, ক্ষুধা-দারিদ্র‍্য, সম্পদহানি, জীবনহানি ও ফসলহানি ইত্যাদি আল্লাহর তরফ থেকে কঠিন পরীক্ষা। কোন মুমিন বান্দা এতে কখনো ঘাবড়ায় না। মুমিন বান্দা কঠিন বিপদে ও চরম সাচ্ছন্দ্যে সর্বাবস্থায় স্থির থাকে।

আর সর্বাবস্থায় স্থির থাকার সক্ষমতা অর্জনের জন্য আল্লাহ ক্কুরআনে দোয়া শিখিয়েছেনঃ

ربنا أفرغ علينا صبرا

হে আমাদের প্রভূ! সুস্থির থাকার পরীক্ষায় তুমি আমাদেরকে উত্তীর্ণ করো।

করোনা ভাইরাস একটি ব্যাধিমাত্র। এর কোন নিজস্ব ক্ষমতা নেই কারো মৃত্যু সংঘটনের। জীবন-মৃত্যু-ব্যাধি সব কিছু আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়। রোগ ব্যাধির সাথে মানুষের দ্বীন গ্রহণ বা অস্বীকার করার কোন সম্পর্ক নেই।

এ ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার দ্বারা আল্লাহর কাছে কারো আমল গ্রহণযোগ্য হওয়া বা না হওয়া নির্ধারিত হয় না।

আমাদের আমলই আমাদের শেষ পরিণতির নির্ণায়ক হবে। তাই রোগ-ব্যধি নয়, বরং আমলের উপরই মনোনিবেশ করুন রোগ-বালাই যাই আসুক না কেন।

আমাদের রোগ ব্যাধির চেয়েও অনেক গুণে বিপর্যয় হচ্ছে বাতিল, ফাসিক্ক-ফাজির-জালিম শাসন ব্যবস্থার ক্কবলে নিপতিত হওয়া। কারণ তাতে আমাদের ঈমান ও চরিত্র হারিয়ে যায়। আর আমাদের ব্যক্তিগত ঈমান ও সামষ্টিক ঈমান নষ্ট হওয়া করনা ভাইরাসের মহামারিতার চেয়ে হাজারো-লক্ষ গুণে বড় বিপর্জয় যা দ্বারা আমাদের অনন্ত অসীম জীবন ব্যার্থ হয়ে যায়।

দুনিয়ার জালিম শাসন- ব্যবস্থার ক্কবলে নিপতিত হয়ে আমরা নিত্যদিন নিজেরা জুলুমের শিকার হচ্ছি এবং অন্যদের উপরও জুলুম করে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত হারাম উপায়ে জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছি। সুদের মত হারাম কাজ আমাদের জীবনের অনিবার্য অংগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হারাম আইন-ব্যাবস্থার ক্কবলে পড়ে আমাদের মুসলিম পরিবার-নীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

তাই আসুন, করনা ভাইরাসের মত সামান্য একটি তথাকথিত মহামারী ব্যাধির পেছনে অস্থির না হয়ে বরং দুনিয়ায় জালিম শাসন-ব্যবস্থা নির্মূল করতে অধিকতর মনোনিবেশ করি, গভীর ধ্যান-ধারণা, চিন্তা-ফিকির, কর্মতৎপরতা, সময় ও সম্পদ বিনিয়োগ করি। এভাবেই আমরা দুনিয়াতে আত্মতৃপ্তি তথা ক্কলবে মুতমায়িন্নাহ, শান্তি ও সুবিচার অর্জন করি এবং আখেরাতের অনন্ত জীবনের সফলতা অর্জন করি।