Widgetized Section

Go to Admin » Appearance » Widgets » and move Gabfire Widget: Social into that MastheadOverlay zone

নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও এর দাবীতে লন্ডনের সভায় পরবর্তী ৩১শে জানূয়ারী ২০১৫ তারিখে পরবর্তী সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত

Posted by on December 29, 2014.

[For English version press here http://bangladeshmatters.com/farakka-uk-english/]

“নদী বাঁচাও, দেশ বাঁচাও” শিরোনামে যুক্ত্ররাস্ট্র ভিত্তিক পরিবেশবাদী ‘আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি’ এর ডাকে যুক্ত্ররাজ্যস্থ ‘প্যাট্রিওটস ওব বাংলাদেশ’ গত শনিবার ২০শে ডিসেম্বর পুর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেলে আয়োজিত এক সভায় আগামী ৩১ জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে ব্যাপক ভিত্তিক আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। প্রবীণ রাজনীতিক ও সমাজসেবী মি সামসুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডঃ কে এম এ মালেক, লেখক সাংবাদিক গাজিউল হাসান খান, পরিবেশবাদী শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার নজির আহমেদ, মুফতি শাহ সদরুদ্দিন, ওধ্যাপক আব্দুল কাদির সালেহ, ব্যারিস্টার আলিমুল হক লিটন, মিডিয়া এক্টিভিস্ট মি আমীনুর রশীদ, হাসান নূরী চৌধুরী, কাজী মনসুর হোসেন, সাংবাদিক রহমত আলী ও মোহাম্মদ কমর উদ্দিন।

Farkka Water

সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের উপর দিয়ে প্রাবাহিত ৫৩ট অভিন্ন নদীতে ভারত যত্রতত্র বাঁধ নির্মাণ করার পরিকল্পনা আব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সাথে কোন পরামর্শ বা যৌথ সিদ্ধান্ত ছাড়াই ভারত উজানে বিভিন্ন বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ একতরফাভাবে পানি সরিয়ে নিচ্ছে। ‘সকলের জন্য বিদ্যুৎ’ সরবরাহ করার অংশ হিসেবে ভারত সরকার ৫০ হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে উত্তর-পুর্ব ভারতে নদী সমূহের উপর ইতিমধ্যে ১৬টি বৃহৎ বাঁধ চালু করেছে। এবং আরো ৮টি বৃহৎ বাঁধ নির্মাণাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেশী দেশের সাথে যৌথ সিদ্ধান্ত ছাড়া এককভাবে উল্লিখিত আভিন্ন নদীগুলো থেকে পানি উত্তোলন, জলসেঁচ মুলক বাঁধ অথবা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক রীতিনীতির বরখেলাফ। তারা অভিযোগ করেন ফারাক্কায় গঙ্গা নদীতে একতরফা বাঁধ নির্মাণ করে ভারত বাংলাদেশের রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের কৃষি এবং পরিবেশের ক্ষেত্রে যে ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃস্টি করেছে অন্যান্য অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ও তারা একই বিপর্যয় সৃস্টি করেছে।

বক্তারা বলেন, এ ব্যাপারে উদ্ভুত পরিস্থিতির মোকাবেলা এবং সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের উচিত জাতিসঙ্ঘ এবং আন্তর্জাতিক আদালত সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাসমূহ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারস্থ হওয়া।

তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ সমুদ্রসীমা নির্ধারণে আন্তর্জাতিক আদালতে গেলেও আভিন্ন নদীর পানির ব্যাবহার নিশিত করার ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নিতে ব্যার্থ নিতে হয়েছে।

এসব বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃস্টির জন্য বক্তারা আহবান জানান।

উল্লিখিত বিষয়গুলো নিয়ে ‘প্যাট্রিয়টস অব বাংলাদেশ’ নিয়মিত প্রচারাভি্যান ও সেমিনার সিম্পোজিয়াম আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে লক্ষ্যে আগামী ৩১শে জানুয়ারী ২০১৫ লন্ডনে একটি ব্যাপক ভিত্তিক আলোচনা সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। জনসাধারনকে এসব বিষয়ে সার্বিক ও বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য মিডিয়া এক্টিভিস্ট মি আমীনুর রশীদের এর সাথে ফোন নাম্বার +447939847723 ও ইমেইল এড্রেস ameenur1@yahoo.co.uk এর মাধ্যমে যোগাযোগ করার আহবান জানানো হয়।