Widgetized Section

Go to Admin » Appearance » Widgets » and move Gabfire Widget: Social into that MastheadOverlay zone

ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদ, সেক্যুলারিজম ও ইসলাম

Posted by on March 9, 2020.

ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদ, সেক্যুলারিজম ও ইসলাম

[আমীনুর রশীদ। Ameenur Rasheed, London | +447939847723 | ameenur1@yahoo.co.uk]

ভাল মানুষ তার ভাল গুণাবলীর কারণেই ভাল হয়।

আর ঠিক খারাপ মানুষ খারাপ গুণাবলীর কারণেই খারাপ হয়।

ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য মানুষের ভাল ও খারাপ হওয়ার উপর কোন প্রভাব সৃষ্টি করে না।

মুহাম্মাদ (আলাইহিস সালাম) তার বিদায় হজ্জের ভাষণে উপস্থিত তার সোয়া লক্ষ সংগীদের উদ্দেশ্যে যথার্থই বলেছিলেন যেঃ

১। নিছক কালো বা সাদা হওয়ার কারণে আজ থেকে সাদার উপরে কালোর এবং কালোর উপরে সাদার কোন কর্তৃত্ব থাকবে না।

ঠিক তেমনি নিছক আরব বা আযমী (অনারব) হওয়ার কারণে আরবের উপরে অনারবের এবং অনারবের উপরে আরবের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না।

২। পৌত্তলিকদের প্রতিমাকে তোমরা অশ্রদ্ধা করো না।

৩। যুদ্ধবন্দী ও ক্রীতদাসদের মুক্তি দেবার বিনিময়ে স্বর্গীয় স্থান দেয়া হবে।

৪। তোমরা যা খাবে ও পরবে তোমাদের ভৃত্যকেও তাই দেবে।

৫। ঘাম শুকাবার আগেই মজুরি দিয়ে দাও।

মুহাম্মাদ (আলাইহিস সালাম) এর ৪০টি নির্দেশনার মধ্যে ৫টির কথা উপরে বললাম।

এভাবেই মুহাম্মাদ (আলাইহিস সালাম) ভাষা ও বর্ণের বিচিত্রিতার উর্ধ্বে উঠে পৃথিবীতে উন্নত নৈতিকতা দিয়ে আচ্ছাদিত এক বিশ্বজনীন সংস্কৃতি উপস্থাপন করে গেছেন।

হিন্দু সংস্কৃতির নামে আজ প্রতিনিয়ত ইসলামের নামে বিষোদগার করা হচ্ছে। ইসলামের রয়েছে সুনির্দিষ্ট ভিত্তি ও উৎস। আর তা হচ্ছে ক্কুরআন ও মুহাম্মাদ (আলাইহিস সালাম) আর অপরদিকে হিন্দু ধর্মের নামে যা বলা হচ্ছে তার উৎস ও ভিত্তি সম্পর্কে মানুষ আজ অজ্ঞাত। তা কখনো উল্লেখ করা হয় না। উদাহরণ স্বরূপ খ্রিস্টান ধর্মের ভিত্তি হিসেবে বাইবেল ও ঈসা (আলাইহিস সালাম) এবং ইয়াহুদী ধর্মের ভিত্তি হিসেবে তাওরাত ও মূসা (আলাইহিস সালাম) কে উপস্থাপন করা হয়। হিন্দু ধর্মের নামে যা বলা হয় তার কোন ভিত্তি ও উৎস কখনো উপস্থাপন করা হয় না। এটা ধরে নেয়া হয় যে উপস্থাপনকারীদের কাছে এ ধরনের কোন ভিত্তি ও উৎস নেই। বরং এটি নিছক একটি অলীক কল্পনা।

তাই পৌত্তলিকতা ও হিন্দুত্ব বলতে কোন জিনিস নেই।

যারা আজ নিজেদেরকে হিন্দু বলে দাবি করছে তারা নিছক আন্দাজ-অনুমান ও কল্পনার পেছনে দৌঁড়াচ্ছেন বা অবস্থান করছেন। তারা সর্বদা নিজেদের সত্যতার ব্যাপারে সন্দেহের মধ্যে থাকেন। আর তাই যারা গবেষণা করেন তারা এক পর্যায়ে ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেন।

শুধু নির্বোধ ব্যক্তিরাই এসব অলীক ও ভিত্তিহীন বস্তুর পেছনে তাদের জীবন অতিবাহিত করে করছেন।

আরেকটি হতাশাগ্রস্ত শ্রেণী রয়েছে যারা সত্যের সন্ধানে ব্যার্থ হয়ে নিজেদেরকে সেক্যুলার হিসেবে দাবি করে। তাদের জীবন দর্শনেরও কোন সুনির্দিষ্ট ভিত্তি ও উৎস নেই।

অতীতে ও বর্তমানে যারা ইসলাম ও তার সুনির্দিষ্ট উপাদানসমূহ যেমন ক্কুরআন ও মুহাম্মাদ (আলাইহিস সালাম) সম্পর্কে বিষোদগার করছে তারা ভিত্তিহীনভাবে নিজেদের নির্বোধতা, আত্মম্ভরিতা ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই তা করছেন। তাই আপনি লক্ষ্য করবেন তাদের প্রতিক্রিয়ার মধ্যে থাকে ব্যার্থতা ও হতাশার গ্লানি, উশৃংখলতা ও অশালীনতা।

তাই আসুন, নিজেদের নিছক অলীক কল্পনা-বিশাস, আত্মম্ভরিতা ও প্রতিহিংসামূলক ভিত্তিহীন প্রচারণা পরিহার ইসলামের সুনির্দিষ্ট ও ভিত্তিশীল জীবন-ধারাকে গ্রহণ করে নিজেদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন।

আর শান্তির বিপরীতে যুদ্ধ-বিগ্রহের যে অভিযোগ ইসলাম ও তার উপাদান সমূহ ক্কুরআন ও মুহাম্মাদ (আলাইহিস সালাম) এর বিরুদ্ধে উপস্থাপন করা হয় তা নিছক আরেকটি ভণিতা।

আমি একই জিনিস বারবার উল্লেখ করেছি যে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও হত্যাকাণ্ড বৃহত্তর মানব-সভ্যতার প্রয়োজনেই অতীতেও ছিল, আজও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বর্তমান পৃথিবীর প্রত্যেকটি রাস্ট্র, তার শাস্তিবিধান, কারাদণ্ড প্রদান, ফাঁসিবিধান, প্রতিরক্ষা নীতি ও আন্তঃরাস্ট্রীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিধিমালাই তার প্রকৃষ্ট ও জীবন্ত উদাহরণ।