Widgetized Section

Go to Admin » Appearance » Widgets » and move Gabfire Widget: Social into that MastheadOverlay zone

কিছুটা সমন্বয়হীনতা ও ঘাটতি নিয়ে এম সি একাডেমী রি-ইউনিয়ন বিষয়ে ২য় মিটিং এর মাধ্যমে তা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।

Posted by on June 2, 2016.

20160601_201235কিছুটা সমন্বয়হীনতা ও ঘাটতি নিয়ে এম সি একাডেমী রি-ইউনিয়ন বিষয়ে ২য় মিটিং এর মাধ্যমে তা আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল।

ব্যাকগ্রাউন্ড:
বৃটেনে অবস্থানরত বাংলাদেশের সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জস্থ ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এম, সি, একাডেমীর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের রি-ইউনিয়ন ওনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত ২৪ মে ২০১৬ তারিখ লন্ডনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সে সভাতে ব্যাপক সম্পৃক্ততা ছিল না বলে অনেকের অভিমত ছিল।

আর মূলত সে অভিমতের ভিত্তিতেই কিছু ভাইয়েরা গতকাল ১ জুন ২০১৬ তারিখের সভাটি আয়োজন করেন।

বিশ্লেষিত ঘটনাপুঞ্জি;

উল্লেখ্য যে গতকালের সভায় অংশগ্রহন করেন বিগত ২৪ তারিখের সভার সভাপতি ফারুক আহমদ সহ প্রাথমিক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

গতকালের সভায় ডেলিগেটবৃন্দ অত্যন্ত খুলাখুলি ও প্রাণবন্তভাবে আলোচনা করেন।

প্রাথমিক কমিটির তরুণ সদস্য আব্দুল মুকিত চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করেন যে ঐ কমিটি ছিল একটি প্রাথমিক কমিটি যার উদ্দেশ্য ছিল পরবর্তীতে সকলকে সম্পৃক্ত করে একটি ব্যাপকভিত্তিক কমিটি করা। সভার আলোচকগণ প্রাথমিক কমিটির আয়োজকদের ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং সকলকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপকভিত্তিক কমিটি গঠনে অভিমত দেন।

সভা সর্বসম্মতভাবে ২৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম সভার ধারাবাহিকতায় সে সভার আয়োজক এবং ২য় সভার আয়োজকদের সম্পৃক্ত করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন লিয়াঁজো গঠন করে।

অন্তর্বর্তীকালীন লিয়াঁজো কমিটি স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি সর্বজনগ্রাহ্য কমিটি গঠনের ব্যাবস্থা করে তাদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করবে। যদিও তা রিজলিউশন দলীলে ব্যাখ্যা করা হয়নি।

রিজলিউশন দলীলে কিছু সাংঘর্ষিক উপাধী/ পদবী এড়িয়ে তার বদলে অন্য পরিভাষা অন্তর্ভুক্ত করলে তা জন বান্ধব ও শ্রোতাবান্ধব হতে পারত। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন লিয়াঁজো কমিটির প্রধানকে ‘আহবায়ক’ না বলে ‘প্রধান সমন্বয়ক’ হিসেবে রিজলিউশন দলীলে উল্লেখ করলে তা অধিকতর ভাল হত। এবং ২৪ মে গঠিত প্রাথমিক কমিটির ‘আহবায়ক’ পদবীর সাথে সাংঘর্ষিক হিসেবে ধারনা করার সু্যোগ থাকত না।

২ জুনের মিটিং এর অব্যবহিত পরে প্রিয় বন্ধু আফসর সভায় অনুপস্থিত থাকায় আমি তার সাথে যোগাযোগ করলাম এবং সভার সিদ্ধান্ত অবহিত করলাম। সে কিছুটা তার অভিমান প্রকাশ করল যে আয়োজকরা তাকে দাওয়াতই করেনি। আমি তাকে অভিমান ত্যাগ করে একত্রে কাজ করার অনুরোধ করলে সে তা বিবেচনার জন্য কিছু সময় চায়। তার অব্যবহিত পর লিয়াঁজো কমিটির প্রধান জনাব আব্দুল হাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অভিমত দেন যে প্রথম আয়োজকদের সাথে আলোচনায় বসা সমীচীন।

উপসংহার:

উপসংহারে বলা দুটি সভার আয়োজকরাই একত্রে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে। দুটি কমিটির লোকজন অত্যন্ত উদার ও মহৎ প্রকৃতি।।

এখন পরবর্তী ধাপ হবে একটা তারিখ নির্ধারণ করে দুটি কমিটি একসাথে বসে তাদের ঐক্যমত ঘোষনা করা। আর সে ঘোষনার মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ যাত্রা শুরু হবে। আর এ ক্ষেত্রে লিয়াঁজো কমিটির প্রধানকেই মুখ্য ভুমিকা পালন করতে হবে।

আবারো গাই ঐক্যের গান, “আমরা ছিলাম এক, আমরা আছি আর আমরা থাকব এক”।

সুচিন্তিত মতামত ও মন্তব্য সুসাগত।

(বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদক: আমীনুর রশীদ, Ameenur Rasheed, London, UK, m: +447939847724, e: ameenur1@yahoo.co.uk, w: www.facebook.com/AmeenurRasheedPress)