Go to Admin » Appearance » Widgets » and move Gabfire Widget: Social into that MastheadOverlay zone
www.facebook.com/AmeenurRasheedPress
আমীনুর রশীদ
৬ই নভেম্বর ২০১৪, লন্ডন
(ইংরেজী সংস্করনঃ
বর্তমান প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য জরুরী সাংবিধানিক ব্যাবস্থার ফর্মুলা গ্রহনের আকুল আহবান।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ন্যায় একটা দুর্বৃত্ত চক্র আজ বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদে আসীন। সত্যের লেশমাত্র নেই এমন সব কল্প কাহিনীমুলক ও ভিতিহীন আভিযোগের ভিত্তিতে বিরোধী মতাবলম্বী বিশেষতঃ জামাত ইসলামীর শীর্ষ স্থানীয় ব্যাক্তিদের একের পর এক ফাঁসির আদেশ দিচ্ছে চরম দলীয় অনুগত বিচারক নামের হত্যাকারীরা। তথাকথিত সেই বিচারক নামক হত্যাকারী আর সরকারী রাজনৈতিক নেতারা যোগসাজস করে কোন ধরনের নীতি নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে রাস্ত্রীয় হত্যাকান্ড সঙ্গঘটিত করছে। আইনের শাসন আজ সম্পুর্ণভাবে ধবংসপ্রাপ্ত। আইনের স্বভাবিক প্রক্রিয়া আজ আর বহাল নেই।
এহেন পরিস্থিতিতে যথাযথ শক্তি প্রয়োগ করে জরুরী ভিত্তিতে এই দুর্বৃত্ত চক্রকে ক্ষমতা থেকে অপসারন করে বিচারের আওতায় এনে চুড়ান্ত শাস্তি প্রয়োগ করা আজ প্রতিটা কর্তৃত্তবান ব্যাক্তির নৈতিক দায়িত্ব। এ লক্ষ্যে একটা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। কিন্ত বর্তমান রাজনৈতিক সরকার তো আর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে দিবে না আর বর্তমান সাংবিধানিক ব্যবস্থায় তার বিধান ও নেই।
বর্তমান রাজনৈতিক সরকারের অনিচ্ছাহেতু সংবিধানের এ সঙ্কট মোকাবেলায় রাস্ট্রপতির আদেশ বলে একটি সাময়িক সাংবিধানিক ব্যাবস্থা (Provisional Constituinal Framework hereinafter referred to as ‘PCF’) প্রতিষ্ঠা করতে হবে। PCF এ প্রদেয় ক্ষমতাবলে জনগণের ম্যান্ডেটবিহীন অবৈধ (illegitimate) এ সংসদের কার্যক্রম স্থগিত করে দিতে হবে।
PCF এ প্রদেয় ক্ষমতার বলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল রিফরমস কমিশন (Supreme Judicial Reforms Commission) গঠন করে দুর্বৃত্ত বিচারকদের অপসারন করতে হবে। উচ্ছৃংখল পন্থায় PCF এর অমান্যকারীদের সাময়িকভাবে ডিটেনশনে রাখতে হবে। বিশেষায়িত রাজনৈতিক ট্রাইবুনাল অবলুপ্ত করতে হবে।
নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন করতে হবে।
অবশ্যই PCF এর সাথে সংবিধানের সাংঘর্ষিক ধারাসমুহ সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে। এতে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষতিগ্রস্থ হবে না
বাংলাদেশের বর্তমান সাংবিধানিক ব্যাবস্থাই বাংলাদেশের সুষ্ঠু রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার পথে মূল বাধা। এ বাধা অপসারন করে একটি সুষ্ঠ ও টেকসই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালু ও তা বহাল রাখতে অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক শক্তির সাথে বিশেষত সামরিক বাহিনীর সমর্থন ও সহযোগীতা ও বহির্বিশ্বে কুটনৈতিক সমর্থন একান্তভাবে কাম্য।
মনে রাখতে হবে, প্রচলিত সংবিধান কখনোই কোন চিরন্তন বিধান নয়। সুশাসন, স্থিতিশীলতা, শান্তি ও বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত, সংযোজন ও বিয়োজনের মাধ্যমে পরিবর্তন ও বাতিলযোগ্য।মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করা ব্যাতীত অতীতে ও সব সময় সমাজে ও রাস্ট্রে তা সংঘটিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে ও সঙ্ঘটিত হতে হবে।
প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী সরকার কোন মৌলিক নীতিমালা গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ব্যাতিত রুটিন কাজ ও সাধারন নির্বাচন আয়োজন কেন্দ্রিক তৎপরতা দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার মধ্যে মনোনিবেশ করবে।