Go to Admin » Appearance » Widgets » and move Gabfire Widget: Social into that MastheadOverlay zone
মুসলিম জনগোষ্ঠির নীতি-নির্দেশনা গ্রন্থ আল ক্কুরআনের বাংলা অনুবাদের বইয়ের ত্রুটি খতিয়ে দেখে সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ইতোমধ্যেই দেশের বাজারে বিভিন্ন লেখক ও প্রকাশকের লিখিত ৮০টি ক্কুরআনের বাংলা অনুবাদ গ্রন্থের কপি সংগ্রহ করে সেগুলো পর্যালোচনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি কমিটিকে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ক্কুরআনের অনুবাদের বইয়ের ভুলত্রুটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন: “গত ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে যান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি লাইব্রেরির তাকে সাজিয়ে রাখা ক্কুরআনের বিভিন্ন অনুবাদের বই দেখিয়ে ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তাকে ডেকে জানান, তিনি বাজার থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন অনুবাদের বইতে একই আয়াতের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ দেখতে পেয়েছেন। কোন অনুবাদ সঠিক মানুষ কীভাবে বুঝবে তা জানতে চান। একইসঙ্গে ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বিষয়টি অবহিত করে তা পর্যালোচনা করার নির্দেশনা দেন।”
সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, “ইতোমধ্যেই বাজার থেকে ৮০ জন প্রকাশক ও লেখকের অনুবাদের বই সংগ্রহ করে সেগুলো পর্য়ালোচনা করানো হচ্ছে।”
শনিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা/ব্যক্তি কর্তৃক মুদ্রিত ক্কুরআনের মূল ভাষ্য/অনুবাদে ত্রুটি যাচাইয়ের অগ্রগতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অন্যান্য কার্যক্রম শীর্ষক’ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি রফিকুল ইসলাম, ইফা সাবেক বোর্ড অব গভর্নর মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ আল মা‘রূফ, আহছানিয়া ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মাদ উছমান গণী, ইফার সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, পরিচালক মো. আবদুল হাই ভূঁইয়া, ড. মুহাম্মদ আবদুস সালাম, মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, এ কে এম মফিজুর রহমান, সাবেক পরিচালক এএমএম সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার শাইখুল হাদিস মুফতি মো. বদিউল আলম সরকার, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান ফকিহ মুফতি মাহমুদুল হাসান, জামিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুয্যামান, মাওলানা মাহমুদ হাসান ইউসুফ, ড. আবদুল মবিন সিরাজী, নেয়ামতউল্লাহ আল আযহারী ও সাইদুর রহমান মোখলেছী প্রমুখ অংশ নেন।
(সুত্র: ইউরো ভিশন ৩০ এপ্রিল ২০১৮)