Widgetized Section

Go to Admin » Appearance » Widgets » and move Gabfire Widget: Social into that MastheadOverlay zone

বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে ইসলামপন্থীদের উপর নির্যাতনের ষড়যন্ত্র!

Posted by on June 27, 2016.

“এই মসজিদে যে নামাজ পড়বি সব অ্যারেস্টেড হবি”

এভাবেই হুমকি দিয়ে পিস্তল হাতে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বের করে দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ শাসনামলের পুলিশ বাহিনীর গেণ্ডারিয়ার থানার মুসলিম নামধারী ওসি মিজান।

আরেকজন পুলিশ কর্তা ওসি মিজানকে শান্ত থাকতে বলেন, ‘আরে পিস্তল দেখাইয়েন না’। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত এক ভিডিওতে মুসল্লিদেরকে পেটাতে দেখা যায়।

খবরে প্রকাশ, গেণ্ডারিয়া কাপুরিয়া নগর এলাকায় হিন্দুদের বসবাসই তুলনামুলক বেশী। সেখানে কোন মসজিদ ছিলো না তাই এলাকার তরুন মুসলমানরা এবং পাড়ার মুরুব্বি কয়েকজন মিলে একটা মসজিদ তৈরি করছে, যা এখনও সম্পূর্ণরূপে হয়নি। শুক্রবার দিন জুম্মার নামাজও পড়েছে এলাকাবাসী। মসজিদের ব্যাপারে হিন্দুদের শান্তি বিনষ্ট ও নিরাপত্তার অভিযোগ এনে হিন্দুরা গেণ্ডারিয়া থানায় অভিযোগ করে এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছেও অভিযোগ করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আজ পুলিশ এসে জোহরের নামাজের পর সকল মুসল্লিকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ও মারধর করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়।

গেন্ডারিয়া এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে উগ্রপন্থী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গেন্ডারিয়া শাখার পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় একটি জিডি করার পর আজ রোববার দুপুরে সেখানে পুলিশ যায়।

গেন্ডারিয়ার স্থানীয় কিছু সংখ্যক উগ্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দাবি করেছে যে স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে একটি মন্দির ছিল। মিলব্যারাক সমাজকল্যাণ সংগঠনসহ ৫ ব্যক্তির নামে স্থানটি লিজ নেয়া হয় এবং ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই স্থানে কোনো মন্দির ছিল না। গত শুক্রবার মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি সেখানে নামাজ পড়া শুরু হয় এবং রোববার মসজিদটিতে জোহরের নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। কিন্তু গেন্ডারিয়া থানায় জিডি করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুসল্লিদের উপর হামলা করে বের করে দেয়।

ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে যে হাসিনা প্রতিবেশী ভারতের আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘রিসার্চ এন্ড এনালিস’ (Research And Analysis= RAW) বা ‘র’ এর পরামর্শের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। আর ‘র’ এর ষড়যন্ত্রে হাজার বছরের ধর্মীয় সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাংগা সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে যাতে একটা অজুহাতে সক্রীয় ইসলামপন্থী লোকদের উপর নির্যাতন করা যায়। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আরোহণের পর থেকে বিরোধী মতাবলম্বীদের উপর গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা, জেল-জুলুম, গোপন ও প্রকাশ্য হত্যা ও বিচারিক হত্যা চালিয়ে যাচ্ছেন সাক্ষ্যপ্রমাণসহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।